BCS বাংলা সর্ম্পকৃত তথ্য ও পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি। এই পোস্টে বাংলার সকল বিষয় পড়লে ও জানলে ইনশাআল্লাহ বাংলার সকল প্রশ্ন কমন থাকবে।
০১. বাংলা ভাষায় কোন স্বরধ্বনি উচ্চারণকালে জিহবা উচ্চ অবস্থানে থাকে? [৪৬তম বিসিএস].
উত্তর: উ।
০২. বাংলা শব্দ ভাণ্ডারে অনার্য জাতির ব্যবহৃত শব্দ- [৪৬তম বিসিএস].
উত্তর: দেশি।
০৩. ‘ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব’ গ্রন্থের রচয়িতা- [৪৬তম বিসিএস].
উত্তর: মুহম্মদ আবদুল হাই।
০৪. বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বর কয়টি? [৪৬তম বিসিএস].
উত্তর: ৪ টি।
০৫. যোগরূঢ় শব্দ কোনটি? [৪৬তম বিসিএস].
(ক) কলম (খ) মলম (গ) বাঁশি (ঘ) শাখামৃগ
উত্তর: শাখামৃগ।
০৬. উপসর্গযুক্ত শব্দ কোনটি? [৪৬তম বিসিএস].
(ক) বিদ্যা (খ) বিদ্রোহী (গ) বিষয় (গ) বিপুল
উত্তর: বিদ্রোহী।
০৭. বিভক্তিযুক্ত শব্দ কোনটি? [৪৬তম বিসিএস].
(ক) সরোবরে (খ) চশমা (গ) সরোজ (ঘ) চম্পক
উত্তর: সরোবরে।
০৮. কোনটি প্রত্যয়-সাধিত শব্দ? [৪৬তম বিসিএস].
(ক) ভাইবোন (খ) রাজপথ (গ) বকলম (ঘ) ঐকিক
উত্তর: ঐকিক।
০৯. ‘শিরশ্চেদ’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ- [৪৬তম বিসিএস].
উত্তর: শিরঃ + ছেদ।
১০.
১১. ‘Pedagogy' শব্দের পরিভাষা- [৪৬তম বিসিএস].
উত্তর: শিক্ষাতত্ত্ব।
১২. ‘বঙ্কিম’ এর বিপরীত শব্দ কোনটি? [৪৬তম বিসিএস].
উত্তর: ঋজু।
১৩. বাংলা একাডেমি ‘প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম’ কত সালে প্রণীত হয়? [৪৬তম বিসিএস].
উত্তর: ১৯৯২ সালে।
১৪. কোন বানানটি শুদ্ধ? [৪৬তম বিসিএস].
(ক) মুলো (খ) মুলা (গ) ধুলি (ঘ) ধূলো
উত্তর: মুলো, মুলা
১৫. ‘নদী’র সমার্থ শব্দ কোনটি? [৪৬তম বিসিএস].
(ক) সিন্ধু (খ) হিল্লোল (গ) তটিনী (ঘ) নির্ঝর
উত্তর: তটিনী।
প্রশ্ন: বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম লিখুন।
উত্তর: বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম নিম্নরূপ:
০১. তৎসম অর্থাৎ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অবিকৃত সংস্কৃত শব্দের বানান যথাযথ ও অপরিবর্তিত থাকবে। যেমন- স্বর্ণ, বৃক্ষ, সূর্য
০২. যেসব বানানে মূল সংস্কৃত ই-কার, ঈ-কার এবং উ-কার ও ঊ-কার উভয়ই শুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করেছে, সেগুলোতে শুধু ই-কার এবং উ-কার হবে। যেমন- কিংবদন্তি, চিৎকার, ধমনি, পদবি, ভঙ্গি, মুঞ্জুরি, সূচিপত্র, সরণি, উষা ইত্যাদি।
০৩. রেফ-এর পরে ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন- অর্জ্জন, কার্ত্তিক, কার্য্য, সূর্য্য ইত্যাদির পরিবর্তে অর্জন, কার্তিক, কার্য, সূর্য ইত্যাদি হবে।
০৪. সন্ধির ক্ষেত্রে ক, খ, গ, ঘ পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থ ‘ম’ স্থানে অনুস্বার (ং) লেখা যাবে। যেমন- অহংকার, ভয়ংকর, সংগীত, শুভংকর, সংঘটন ইত্যাদি।
০৫. ইংরেজি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণে-এর জন্য ‘স’ এবং sh, - sion, - ssion, - tion ইত্যাদির জন্য সাধারণত ‘শ’ হবে। যেমন- স্টেশন, কমিশন, শার্ট, ফটোস্ট্যাট ইত্যাদি।
প্রশ্ন: সাধু ও চলিত রীতির পাঁচটি পার্থক্য লিখুন।
উত্তর: নিচে সাধু ও চলিত ভাষারীতির পাঁচটি প্রধান পার্থক্য দেয়া হলো।
০১. সাধু পণ্ডিতদের দ্বারা লিখিত ভাষারীতি হলো সাধুভাষা। আর ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের ভাষাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে চলিত ভাষারীতি।
০২. সাধু ভাষারীতিতে তৎসম শব্দ প্রধান থাকে। যেমন- বৃক্ষ, হস্ত, চক্ষু। আর চলিত ভাষারীতিতে তদ্ভব শব্দ প্রধান থাকে। যেমন- গাছ, হাত, চোখ ইত্যাদি।
০৩. সাধু ভাষারীতিতে ক্রিয়া, সর্বনাম ও অনুসর্গের রূপ পূর্ণ থাকে। যেমন- করিতে, করিলেন, তাহারা, হইতে প্রভৃতি। আর চলিত ভাষারীতিতে ক্রিয়া, সর্বনাম ও অনুসর্গের রূপ সংক্ষিপ্ত থাকে। যেমন- করতে, করলেন, তারা, হতে প্রভৃতি।
০৪. সাধু ভাষারীতি গদ্য, নাটকের সংলাপ এবং বক্তৃতায় অনুপযোগী। আর এগুলোতে চলিত ভাষারীতি উপযোগী।
০৫. সাধু ভাষারীতি সম্পূর্ণ ব্যাকরণ মেনে চলে। আর চলিত ভাষারীতি ব্যাকরণ মেনে চলে না।
No comments:
Post a Comment